নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মুক্তিপণের দাবীতে অপহৃত শিশু আলী আহম্মদ (৬) কে অপহরনের ৩ দিন পর উদ্ধার। আটক করা হয়েছে নরপশু অপহরণ কারী তোফায়েল (২৩) কে।
গত ২০ মার্চ মঙ্গলবার। সকাল ১১টা। টেকনাফ সাবরাং গুচ্ছগ্রামে নিজ বাড়ীর পাশে সমবয়সী অন্যান্য ছেলে দের সাথে খেলছিল আলী আহাম্মদ। পাশে ওৎপেতে থাকা পাষন্ড ইসমাইল, তোফায়েল আর বেলাল পরস্পর যোগসাজসে মুখ চেপে জোর করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যায় আলী আহাম্মদকে। খেলায় রত অন্যান্যরা ভয়ে সবাই চুপ।
বেলা গড়িয়ে বিকাল হলেও আলী আহম্মদ বাড়ী না ফেরায় তার মা বাবা সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণকারী ইসমাইল ফোন করে আলী আহাম্মদের পিতা আবু তাহের কে। প্রথমে দাবী করে ছেলেকে জীবিত ফেরৎ পেতে চাইলে পাঁচ লাখ টাকা। গরীব হতভাগ্য পিতা আবুতাহের কোথায় পাবে এত টাকা !
শুরু হয় পরিবারে কান্নার রোল। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাতে আসে টেকনাফ থানায়। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে কোন রকমে ছেলে অপহরণের পুরা বিষয় খুলে বলে আমার কাছে। অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরনকারী আটক করার দায়িত্ব দেয়া হয় টেকনাফ থানার এস আই নুরুল আমিনকে। পরে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা ও মনিটরিং এ মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে অপহৃত ও অপহরণ কারীদের অবস্থান সনাক্ত করে টেকনাফ মমডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ রনজিত বড়ুয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ২২ মার্চ বুধবার রাত সোয়া ১১ টায় নয়া শরনার্থী ক্যাম্পের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু অালী অাহাম্মদকে। আটক করা অপহরণ চক্রের সদস্য তোফায়েলকে। তোফায়েল সাবরাং কচুবুনিয়া সাকিনের আবদুর রহিমের ছেল।
হারানো ধন ফিরে পেয়ে আলী আহাম্মদের পিতা আবু তাহের ও মা হাসিনা আক্তারের চোখে গড়িয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু।
পাঠকের মতামত: